ডেস্কনিউজঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য জয়নাল হাজারীর বাড়িতে ফাঁকাগুলি, বোমা হামলা ও ভাংচুর করেছে মুখোশাধারী সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন জয়নাল হাজারী।
জয়নাল হাজারী ও তার বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা সূত্রে জানা গেছে, রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে মুখোশ পরে কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা বাড়িতে অবস্থিত মুজিব উদ্যানে ১৫ আগস্ট জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী ও শোক দিবস পালনের জন্য আয়োজনের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে, ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে এবং ফাঁকাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
জয়নাল হাজারী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী ও শোক দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে দফায় দফায় হামলার চেষ্টা চালানো হয়। আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছি। আজকের হামলার বিষয়টি ফেনীর পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছি। ইতোমধ্যে আমার বাড়িতে পরিদর্শন করে গেছেন ফেনী সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আলমগীরসহ ডিবি পুলিশের ওসি ও র্যাব সদস্যরা।
বুধবার জয়নাল হাজারী তার নিজের ফেসবুক পেজে তার দুই সহযোগী আরজু ও শাখাওয়াতসহ তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন জয়নাল হাজারী। তিনি বলেন, যে দেশে জাতির পিতা নিহত হয়েছেন সে দেশে আমার মৃত্যু হলেও আফসোস থাকবে না। মুজিব উদ্যান করেছি, বহু বছর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারিনি। এবার ১৫ আগস্ট ফেনীতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করব। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বিরোধী পক্ষের উস্কানিমূলক তৎপরতার শেষ নেই, ওরা অপতৎপরতায় লিপ্ত।
আইনি পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জয়নাল হাজারী বলেন, আমি এখন কিছুটা ক্লান্ত, কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আমি লিখিতভাবে একটা অভিযোগ ফেনী সদর থানায় পাঠাব। সদর থানার ওসি সেটি প্রহণ করে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) জানান, হামলার সংবাদ পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আলামত সংগ্রহ করেছি। লিখত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।